Table of Contents
Easy Batasa Making Business বাতাসা তৈরির ব্যবসা
বাতাসা তৈরির ব্যবসা এমন এক ব্যবসা যেটাতে যথেষ্ট পরিমাণে উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে । সামান্য পুঁজি নিয়েই Batasa Making Business ব্যবসাটি শুরু করা যাবে । আর এর চাহিদা কখনোই কম হয়না । কাজেই সারাবছর ব্যবসা রমরমিয়ে চলবে ।
বাতাসা চেনে না এমন মানুষ নেই । প্রত্যেকের বাড়িতেই এর ব্যবহার আছে । বিশেষ করে হিন্দু বাড়িতে পুজোর ভোগ হিসাবে এর সমাদর বিদ্যমান । এই ব্যবসার মাধ্যমে কোন উদ্যোক্তা তার সকল প্রকার অর্থের চাহিদা পূরণ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে উপার্জন করতে পারবে । জীবনকে স্বচ্ছল করে তুলতে পারবে । আসুন, আজ আমরা আলোচনা করি, Batasa Making Business অর্থাৎ বাতাসা তৈরির ব্যবসা নিয়ে । কি ভাবে তার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে হবে সেই বিষয়েও ধাপে ধাপে আজ আলোচনা করবোঃ
বাতাসা তৈরি ব্যবসার সম্ভাবনা
বাতাসা বিপুল ব্যবহৃত একটি পন্য । Batasa Making Business একটু স্টাডি করলেই বিপুল সম্ভাবনা আপনি নিজেই দেখতে পারবেনঃ
১) সব ধর্মের মানুষকেই এটা ব্যবহার করতে হয় । হিন্দুদের দৈনিক পূজা পাঠ থেকে শুরু করে যেকোনো মন্দির ও তীর্থস্থানে, কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভোগ হিসাবে মূলত বাতাসার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ।
২) যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন বার্থডে, শ্রাদ্ধ, অন্নপ্রাশনের মতো কাজে পায়েস রান্নার কাজে বাতাসার দরকার হয়ে থাকে ।
৩) গরমের দিনে পরিশ্রম করা মানুষেরা জল বাতাসা খেয়ে শরীর ঠাণ্ডা রাখে ।
৪) অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় অতিথি আপ্যায়নে জল বাতাসার চল এখনও রয়ে গেছে ।
৫) প্রত্যেক বাড়িতেই পায়েস রান্নার কাজে অথবা কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরির ক্ষেত্রে Batasa Making Business বাতাসা ব্যবহার করে থাকে ।
৬) Batasa কোনও অফ সিজিন বলে কথা হয় না । অনায়াসে উদ্যোগকারী বিপুল মুনাফা অর্জন করতে পারবে সন্দেহ নেই ।
বাতাসা তৈরি ব্যবসার পরিকল্পনা
কোনও ব্যবসা শুরু করার আগে তার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সর্বপ্রথম জোগাড় করে আপনাকে একটি সুন্দর পরিকল্পনা গঠন করতে হবে । Batasa Making ব্যবসায় সাফল্য লাভের ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরীঃ
১) আপনি ব্যবসা ছোট না বড় আকারে করতে চান, সে বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নিন । আমরা বলি, আপনি বড় করে করতে চাইলেও প্রথমে ছোট করে শুরু করুন । তারপর Batasa Making Business ব্যবসাটি বুঝে গেলে, বেশি পুঁজি নিয়োগ করে বড় আকারে করবেন ।
২) ব্যবসাটি কোথায় শুরু করতে চান, সেটাও ঠিক করুন । প্রথমে বাড়ি থেকে শুরু করাটাই ভালো । ভাড়াতে ঘর নিয়ে শুরু করা যেতে পারে, কিন্তু খরচের চাপ থেকে যায় । শুরুর দিকে সেই চাপ না নেওয়াটাই ভালো ।
৩) এই ব্যবসা নিজে নিজেই করা যায় । যদি লেবার নিয়ে শুরু করতে চান, তাহলে দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য লেবার খুঁজে বের করুন ।
৪) কাঁচামাল কি কি লাগবে এবং কোথায় থেকে তা পাওয়া যাবে তার জন্য বিস্তারিত খোঁজ খবর নিন । লোকাল মার্কেট ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিতে পারেন ।
৫) প্রতি ব্যবসার জন্য কিছু সরকারী কাগজপত্র লাগে । কি কি কাগজ লাগবে সে বিষয়ে জেনে নিন, সেগুলো কোথা থেকে কিভাবে পাওয়া যাবে সেটাও জেনে ধীরে ধীরে মনস্থির করে লেগে পরুন । আপনার জয় নিশ্চিত ।
বাতাসা তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি
বাতাসা তৈরির কাঁচামাল
যেকোনো উৎপাদন করতে গেলে কাঁচামালের প্রয়োজন । বাতাসা বানাতে গেলে যে সমস্ত সামগ্রী প্রয়োজন হয় সেগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
১) চিনি ২) গুড় ৩) ফুড কালার
৪) সামান্য সর্ষের তেল ৫) খাওয়ার সোডা
৬) Batasa Making Business সাদা বাতাসা তৈরির জন্য সামান্য দুধ
৭) প্যাকেজিং করার জন্য প্লাস্টিকের বিভিন্ন সাইজের প্যাকেট
লোকাল মার্কেট থেকে আপনি সব কিছুই নিতে পারবেন । তবে পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকেই নেবেন । পাইকারি দরে নিলে আপনার বাজেট মতো বেশি সামগ্রী নিতে পারবেন এবং দামেও অনেক কম পাবেন । কাঁচামাল নেওয়ার সময় গুণমান দেখে নেবেন । এমন পাইকারি বিক্রেতা দের অনলাইনের মাধ্যমেও খুঁজতে পারেন ।
বাতাসা তৈরির যন্ত্রপাতি
Batasa Making Business
১) একটি বড় হাঁড়ি, একটি চওড়া মুখের ছোট হাঁড়ি
২) একটি ডাবু হাতা, বড় খুন্তি, একটি বেড়
৩) একটি কাঠের বা বাঁশের লাঠি
৪) ২ ফুট * ৩ ফুট মাপের ৫টি পাতলা টিনের শিট
৫) প্লাস্টিক প্যাকেটে প্যাকেজিং করার জন্য সিলিং মেশিন লাগবে
৬) ওজন করার জন্য ওয়েট মেশিন
বাতাসা তৈরি ব্যবসার প্রয়োজনীয় জায়গা
১) আপনার বাড়িতে জায়গা থাকলে কারখানার জন্য একটা ছোট ঘর তৈরি করে নিন । ঘরের বদলে একটা চালা দিয়েও কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন ।
২) তাতে একটি বড় উনুন ও দুটি ছোট উনুন তৈরি করে নিন । উনুন বাদে বাকি জায়গায় বাতসা তৈরির কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে ।
৩) অবশ্যই তৈরি Batasa স্টোর করে রাখার জন্য একটা ভালো ঘরের প্রয়োজন ।
৪) আপনার বাড়িতে যদি ব্যবস্থা না হয়, ভাড়াতে 150 থেকে 200 বর্গফুট মাপের একটি ঘর নিয়েও Batasa Making Business ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন ।
বাতাসা তৈরি ব্যবসার মোট খরচ
খরচ নির্ভর করবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির উপর । ইনকাম বেশি চাইলে পুঁজি বেশি লাগাতে হবে সবার জানা । পুঁজিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
বাতাসা তৈরির কার্যকরী মূলধন
১) চিনিঃ ১০০ কেজি চিনির দাম পাইকারি দরে ৩৮০০ টাকা
২) গুরঃ ৫০ কেজি গুড়ের দাম পাইকারি দরে ২৫০০ টাকা
৩) ফুড কালারঃ ৩০০ টাকা
৪) সর্ষের তেলঃ ৫ লিটার ৭৫০ টাকা
৫) খাওয়ার সোডাঃ ১০০ টাকা
৬) দুধঃ ৫০ টাকা
৭) প্ল্যাস্টিক প্যাকেটঃ ৫০০ টাকা
৮) মোট কার্যকরী মূলধনঃ ৮০০০ টাকা ।
শুরুতে এই পরিমান মালপত্র নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন । Batasa Making ব্যবসার পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে অনেক বেশি পুঁজি খাটিয়ে বড় আকারে করতে পারবেন ।
বাতাসা তৈরিতে স্থায়ী মূলধন
১) একটি বড় হাঁড়িঃ ১০০০ টাকা
২) দুটি ছোট হাঁড়িঃ প্রতি হাঁড়ি ২৫০ টাকা করে মোট ৫০০ টাকা
৩) হাতা, খুন্তি ও বেড়ঃ ৫০০ টাকা
৪) ৫টি টিনের শিটঃ প্রতি শিট ২০০ টাকা করে মোট ১০০০ টাকা
৫) ওয়েট মেশিনঃ ৩০০০ টাকা
৬) সিলিং মেশিনঃ ২০০০ টাকা
৭) মোট স্থায়ী মূলধনঃ ৮০০০ টাকা
তাহলে, সব মিলিয়ে ব্যবসা শুরু করার মতো মূলধন হল, ৮০০০ + ৮০০০ = ১৬০০০ টাকা । খুব অল্প পুঁজি নিয়েই এই ব্যবসা শুরু করা যায় ।
শুরুতে বেশি টাকা ইনভেস্ট না করাই ভালো । ছোট আকারে শুরু করে, তার সাথে সাথে ব্যবসাটিকে আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধাপে ধাপে বিনিয়োগ করবেন । এতে পুঁজির নিশ্চয়তা বেশি থাকবে ও ব্যবসা সম্পর্কে অভিজ্ঞতাও বেশি হবে ।
বাতাসা তৈরি ব্যবসার সেটআপ তৈরি
আপনি Batasa Making Business সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন । এবার আপনার কাজ হল সেটআপ তৈরি করা । ধাপে ধাপে নিচের কাজগুলি করুনঃ
১) জায়গাটা ঠিক করে একটা ঘর বা চালা তৈরি করে ফেলুন ।
২) সেই ঘর বা চালার ভেতরে একটা বড় উনান ও দুটো ছোট উনান তৈরি করে ফেলুন । উনানগুলো হাঁড়ির মাপে তৈরি করবেন ।
৩) যে সব কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি লাগবে তার একটা তালিকা তৈরি করুন । তালিকা আমরা দিয়ে দিয়েছি । আপনি একটা কাগজে লিখে নিন ।
৪) তালিকা অনুযায়ী সব জিনিসপত্র এক এক করে কিনে ফেলুন ও ঘরে এনে গুছিয়ে রাখুন । দরকারে একজনের হেল্প নিন ।
৫) আপনার কোম্পানির নাম লোগো দিয়ে প্যাকেট বা স্টিকার যেটা আপনার সুবিধা হয়, বানিয়ে ফেলুন ।
৬) ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে ফেলুন ।
৭) যে দুজন লেবার নেবেন ভেবেছেন তাদের সাথে কথা বলুন । একটা দিন ঠিক করে শুরু করে দিন আপনার স্বপ্নের ব্যবসা ।
বাতাসা তৈরির প্রক্রিয়া
বাতাসা হাত দিয়ে ও মেশিন দিয়ে দুরকম ভাবেই তৈরি করা যায় । এখানে হাত দিয়ে তৈরি করার কথাই বলবো । কারন, আমাদের লক্ষ্য অল্প পুঁজিতে কি ভাবে ব্যবসাটা শুরু করা যায় । বাতাসা দুরকমের, সাদা ও লাল ।
সাদা বাতাসা বা চিনি বাতাসা তৈরি
শুধু চিনি দিয়ে তৈরি হয় সাদা বাতাসা । সাদা বাতাসা দেখতে সুন্দর ও দামেও একটু বেশি হয়ে থাকে ।
১) প্রথমে বড় হাঁড়িতে ৬ থেকে ৭ লিটার জলে ২২ থেকে ২৩ কেজি চিনি মিশিয়ে হালকা আগুনে ফুটিয়ে চিনির সিরা তৈরি করে নিতে হবে । ফুটানোর সময় খুন্তি দিয়ে ঘনঘন নাড়তে হবে, নইলে চিনি হাঁড়ির তলায় লেগে যাবে ।
২) এরপর, অল্প করে সিরা ছোট হাঁড়িতে নিয়ে কড়া আগুনে ফোটাতে হবে । বাঁশের কাঠি দিয়ে ঘনঘন নাড়তে হবে ।
৩) যখন ভালো ফুট চলে আসবে, তখন সামান্য দুধ ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে ।
৪) সিরা গাড় হয়ে আঠালো হয়ে এলে বলে পাক আসা । সিরাতে পাক এলে নামানোর কিছু আগে অল্প পরিমানে খাওয়ার সোডা মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে ।
৫) তারপর কাঠি দিয়ে নেড়ে নেড়ে গাড় সিরাতে পাক তৈরি অর্থাৎ বাতাসা তৈরির উপযুক্ত করতে হবে ।
৬) এরপর, কাঠির সাহায্যে হাঁড়ির গায়ে থাকা ছিদ্র দিয়ে পরিমান মতো সিরা টিনের শিটের উপর ফেলতে হবে । টিনের শিটে আগে থেকে তেল মাখিয়ে রাখতে হবে । মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই শুকিয়ে বাতাসা তৈরি হয়ে যাবে ।
লাল বাতাসা বা গুড় বাতাসা তৈরি
চিনি ও গুড়ের সাহায্যে তৈরি হয় গুড় বাতাসা বা লাল বাতাসা । এই বাতাসার চলই বেশি মাত্রায় দেখা যায় ।
১) প্রথমে বড় হাঁড়িতে ৬ থেকে ৭ লিটার জলে ২০ থেকে ২২ কেজি গুড় মিশিয়ে হালকা আগুনে ফুটিয়ে সিরা তৈরি করে নিতে হবে । ফুটানোর সময় খুন্তি দিয়ে ঘনঘন নাড়তে হবে, নইলে গুড় হাঁড়ির তলায় লেগে যাবে ।
২) এরপর, অল্প করে সিরা ছোট হাঁড়িতে নিয়ে তাতে পরিমান মতো চিনি মিশিয়ে কড়া আগুনে ফোটাতে হবে । বাঁশের কাঠি দিয়ে ঘনঘন নাড়তে হবে ।
৩) যখন ভালো ফুট চলে আসবে, তখন সামান্য ফুড কালার মিশিয়ে দিতে হবে । ফেনা বেশি উঠলে দুই তিন ফোটা সর্ষের তেল দিয়ে দিলে ফেনা কমে যাবে ।
৪) সিরা গাড় হয়ে আঠালো হয়ে এলে বলে পাক আসা । সিরাতে পাক এলে নামানোর কিছু আগে অল্প পরিমানে খাওয়ার সোডা মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে ।
৫) তারপর কাঠি দিয়ে নেড়ে নেড়ে গাড় সিরাতে পাক তৈরি অর্থাৎ বাতাসা তৈরির উপযুক্ত করতে হবে ।
৬) এরপর, কাঠির সাহায্যে হাঁড়ির গায়ে থাকা ছিদ্র দিয়ে পরিমান মতো সিরা টিনের শিটের উপর ফেলতে হবে । টিনের শিটে আগে থেকে তেল মাখিয়ে রাখতে হবে । মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই শুকিয়ে বাতাসা তৈরি হয়ে যাবে ।
সব শেষে বাতাসা প্যাকেটজাত করে বিক্রির জন্য রেডি করতে হবে । ব্যাস্ বাতাসা তৈরি কমপ্লিট । Batasa Making Business এবার শুধু মার্কেটিং ।
বাতাসা তৈরির ক্ষেত্রে সাবধানতা
Batasa Making Business বাতাসা তৈরিতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করার মতো নেই । তবুও সাধারণ ভাবে যে যে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবেঃ
১) সিরা তৈরি বা পাক তৈরির সময় সব সময় নাড়তে হবে । নতুবা হাঁড়ির তলায় চিনি, গুড় বা সিরা লেগে যাবে ।
২) ছোট হাঁড়িতে পাক চলে এলে, উপযুক্ত সময়ে নামিয়ে নিতে হবে । Batasa Making Business নইলে পাক নষ্ট হয়ে যাবে ও বাতাসা ভালো হবে না ।
৩) ফুড কালার বা খাওয়ার সোডা সামান্য পরিমানে ব্যবহার করতে হবে । বেশি হলে বাতাসা খারাপ হয়ে যাবে ।
বাতাসার (Batasa Making Business) প্যাকেজিং
Batasa Making Business বাতাসা তৈরির সর্বশেষ প্রক্রিয়া হল প্যাকেজিং । প্যাকেজিং যতো ভালো হবে, পন্যের আকর্ষণও ততো বাড়বে ।
১) বিভিন্ন সাইজের প্লাস্টিকের প্যাকেটের মধ্যে বাতাসা ওজন করে ভরে দিন । ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১ কেজি প্যাকেট করতে পারেন ।
২) প্যাকেট গুলো সিলিং মেশিনের সাহায্যে সিল করে দিন । খোলা হাওয়াতে বাতাসা বেশিক্ষণ রাখবেন না ।
৩) আপনার কোম্পানির নাম, লোগো এবং ওয়েবসাইট থাকলে তার নাম দিয়ে সুন্দর করে কাগজের স্টিকার বানিয়ে নিন । সেই স্টিকার একে একে প্যাকেটের উপর সেঁটে দিন । এই ভাবে প্যাকেজিং করলে মার্কেটিংও হবে এবং আপনার কোম্পানির জনপ্রিয়তাও বাড়তে থাকবে ।
বাতাসা ব্যবসার লাইসেন্স ও নিবন্ধন
সব ব্যবসারই কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় । কাগজ আপনার ব্যবসার বড় হাতিয়ার । বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে সরকারী সাহায্য পেতে সঠিক কাগজপত্র খুবই জরুরী । আপনি একে একে সব কাগজই বানিয়ে নেবেনঃ
১) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে নিন । পঞ্চায়েত এলাকায় প্রধান এবং পৌরসভা এলাকায় কাউন্সিলর ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে থাকে । সামান্য চার্জ নেবে কিন্তু এই একটা কাগজ দিয়েই ব্যবসাটা শুরু করতে পারবেন ।
২) ভবিষ্যতে ব্যবসাকে বৃদ্ধি করার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আপনাকে এগোতে হবে । আপনার Batasa Making Business ব্যবসার নিবন্ধন করাও আবশ্যক । আপনি SSI ইউনিট হিসাবে আপনার ব্যবসার নিবন্ধন করতে পারেন । অনলাইনেও এটা করা যাবে ।
৩) অবশ্যই জিএসটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে । আপনার এলাকায় কোনও ট্যাক্স কনসাল্ট্যান্টের নিকট বানাতে পারবেন ।
৪) আপনার কোম্পানীর নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট আর একটি প্যান নম্বরও তৈরি করতে হবে ।
বাতাসা তৈরি ব্যবসার মার্কেটিং
যেকোনো ব্যবসাতে (Batasa Making Business) মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । মার্কেটিং এর উপরেই নির্ভর করবে ব্যবসাটির উন্নতি ও লাভ ।
পোস্টার বা সাইনবোর্ডের মাধ্যমে
আপনি আপনার কোম্পানির নাম দিয়ে সুন্দর আকর্ষণীয় পোস্টার অথবা সাইনবোর্ড তৈরি করে আপনার এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় খাটিয়ে দিয়ে প্রচার করতে পারেন । এর মাধ্যমে বহু মানুষের কাছে আপনার ব্যবসার নাম চলে যাবে এবং আপনার তৈরি করা বাতাসা সম্পর্কে জানতে পারবে । অবশ্যই তাদের মধ্যে কিছু লোক আপনার গ্রাহক হতেই পারে ।
অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং
যদি আপনার বাতাসা (Batasa Making) অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে চান, তাহলে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো সাইটগুলোতে নাম রেজিস্ট্রেশন করে মার্কেটিং করতে পারেন । আপনার নিজস্ব পোর্টালের মাধ্যমেও অনলাইনে স্টোর করতে পারেন ।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া একটি সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম । যেখানে যে কোন ব্যবসার প্রচার করা যায় ও ব্যবসার বৃদ্ধি করা যায় । ফেসবুক, হোয়াটসআপের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট করে ফ্রেন্ড সার্কেল বৃদ্ধি করুন । তারপর আপনার ব্যবসা (Batasa Making Business) সম্পর্কে বলুন, পোস্ট দিন, সুন্দর সুন্দর ছবি দিন । ওয়েবসাইট বানিয়ে তার লিঙ্ক শেয়ার করুন । আস্তে আস্তে দেখবেন অনেক গ্রাহক তৈরি হয়ে গেছে ও আপনার ব্যবসার প্রতি আকর্ষন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
ডাইরেক্ট সেলিং
ব্যবসার (Batasa Making) মূল ভিত্তি হল ডাইরেক্ট সেলিং । এটি একটি চিরাচরিত পদ্ধতি । ডাইরেক্ট সেলিং আপনি কয়েকটি উপায়ে করতে পারেনঃ
১) আপনার এলাকায় বিভিন্ন বাজারে মুদীখানা দোকানে অথবা দশকর্মার দোকানে ফেস টু ফেস আপনি নিজে সেলিং করতে পারেন ।
২) প্রয়োজনে সেল বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দুজন সেলসম্যান রেখে কমিশন ভিত্তিতে আপনার বাতাসা বাজারজাত করতে পারেন ।
৩) কোনও মেলা বা প্রদর্শনীতে যোগ দিতে পারেন । সেখানে স্টল দিলে আপনার বাতাসা সেল হওয়ার পাশাপাশি ভালো প্রচারও পেয়ে যাবে । আপনার ব্যবসার নাম ছড়িয়ে পড়বে । আপনি সফল হবেন নিশ্চিত ।
বাতাসার চাহিদা যথেষ্ট । কাজেই আপনার ব্যবসা তড়তড় করে এগিয়ে যাবে সন্দেহ নেই। আপনি সাহস করে লেগে পড়ুন ও একটু পরিশ্রমের মানসিকতা রাখুন, দেখবেন উন্নতি আপনার পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছে ।
বাতাসা তৈরি ব্যবসার ক্ষেত্রে লাভের হিসাব
লাভ ক্ষতির হিসেবটাই যেকোনো ব্যবসার আসল হিসেব । সবাই ব্যবসা করে লাভের জন্য । বাতাসা ব্যবসাতে (Batasa Making Business) অন্য ব্যবসার তুলনায় কম ইনভেস্টমেন্টে, বেশি লাভ পাওয়া যায় এটা সত্যি । তাহলে একটু দেখে নেওয়া যাকঃ
১) বাজারে প্রচলিত দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম নির্ধারণ করতে হবে । প্রয়োজনে আপনাকে সামান্য কম দামে অর্থাৎ কম লাভ রেখে বাতাসা বিক্রি করতে হবে । তবে আপনি মার্কেটিং ভালো করতে পারবেন এবং কাস্টমার পাবেন অনেক ।
২) এক বাতাসা প্রস্তুতকারকের কথায়, প্রতি কেজি বাতাসায় পাইকারি দরে সব খরচা বাদ দিয়ে ১২ থেকে ১৫ টাকা লাভ থাকে ।
৩) প্রতিদিন ৮০ কেজি থেকে ১০০ কেজি মাল তৈরি করতে পারলে, ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা লাভ করা যেতে পারে ।
৪) সুতরাং বলা যায়, এই ব্যবসাতে লাভের মার্জিন ভালো থাকায়, ছোট স্তর থেকে যদি শুরু করেন তাহলেও প্রতি মাসে আপনি কম করে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন নিঃসন্দেহে । এই ব্যবসাতে আপনার উন্নতির জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইলো ।
Frequently Asked Questions
বাতাসা আসলে কি ?
ANS: বাতাসা চেনে না এমন বাঙালী হয়তো নেই । বাতাসা প্রতি ঘরেই থাকে বা ব্যবহার হয়ে থাকে । চিনি বা গুড় গলিয়ে শক্ত করে দানা দানা বড়ির মতো তৈরি করাই হল বাতাসা ।
বাতাসা তৈরির ব্যবসা কতোটা লাভজনক ?
ANS: বাতাসা তৈরির ব্যবসা খুবই লাভজনক । লাভের মার্জিন বললে, প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ লাভ থাকে, যেটা আপনি অন্য কোনও ব্যবসায় খুব সহজে পাবেন না ।
বাতাসা তৈরি ব্যবসায় কেমন পুঁজির দরকার ?
ANS: আপনি ভাবতে পারবেন না, খুবই সামান্য পুঁজিতে এই ব্যবসা শুরু করা যায় । মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় আপনি ভালোভাবে শুরু করতে পারবেন ।
বাতাসা তৈরি ব্যবসায় কেমন আয় করা যায় ?
ANS: সামান্য পুঁজি লাগিয়ে আপনি এই ব্যবসায় একটু পরিশ্রমের মানসিকতা রাখলে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনায়াসে আয় করতে পারবেন । তবে সেটা প্রথম দিকে হবে না, যতো দিন যাবে ব্যবসার উন্নতি হবে, আপনার আয় বাড়বে । দিন যতো যাবে কাস্টমার ততো বাড়বে ।
বাতাসা তৈরি ব্যবসা শুরু করা কি কঠিন ব্যাপার ?
ANS: একদম কঠিন ব্যাপার নয় । শুধু দরকার আপনার ইচ্ছা ও আগ্রহ, ব্যাস ।
আমি কি বাতাসা তৈরির ব্যবসা করতে পারবো ?
ANS: অবশ্যই পারবেন । আপনার জন্যই তো এই ব্যবসাটি । এতে কোনও রকেট সাইন্স লাগে না । অত্যন্ত সরল ও সহজ একটি ব্যবসা । আপনি শুধু মনস্থির করুন ও সাহস করে প্রথম স্টেপটি নিন, দেখবেন ব্যবসা শুরু হয়ে গেছে ।
বাতাসা তৈরি ব্যবসার সম্ভাবনা কেমন ?
ANS: প্রচুর সম্ভাবনা । বাতাসা লাগে না এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া কষ্ট হবে । সুতরাং, বাতাসার চাহিদা অপরিসীম । কাজেই বাতাসা তৈরির ব্যবসার সম্ভাবনা প্রচুর ।
বাতাসা তৈরির ব্যবসা কোন এলাকায় ভালো চলবে ?
ANS: গ্রাম বা শহর সব এলাকায় ভালো চলবে । নিশ্চিত ভাবে শুরু করতে পারেন ।
বাতাসা তৈরির ব্যবসায় লোণ পাওয়া যাবে কি ?
ANS: বাতাসা তৈরি ব্যবসায় যেসব কাগজপত্র লাগে তার বিবরণ উপরে দেওয়া আছে । সেই সব কাগজ ঠিকঠিক তৈরি করে, প্রজেক্ট প্ল্যান সহ ব্যঙ্কে জমা দিলে লোণ পেতে পারেন ।
বাতাসা তৈরির ব্যবসা সম্পর্কে জানতে কোথায় যোগাযোগ করবো ?
ANS: আমাদের দেওয়া তথ্য থেকে সমৃদ্ধ হয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করুন । আমাদের শুভেচ্ছা রইলো ।
আপনাদের সুবিধার্থে আরও বিশদে জানা বা ট্রেনিং এর জন্য নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেনঃ
হালিশহর বা কাঁচরাপাড়া station এ নেমে টোটো বা অটো করে বাতাসা পাড়া , উত্তর ২৪ পরগনা । ব্যবসার জন্য যোগাযোগ —6291317400 বিনোদ দাস
আজ আমরা বাতাসা তৈরির ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করলাম । লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে লাইক করবেন, শেয়ার করবেন ও আমাদের ওয়েবসাইটকে সাবস্ক্রাইব করবেন । ভবিষ্যতে এই ধরনের আরও ভালো ভালো ব্যবসার তথ্য পেতে আমাদের পেজে অবশ্যই ভিজিট করবেন । আমাদের তথ্য থেকে সমৃদ্ধ হয়ে ব্যবসা শুরু করুন, নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করুন । ধন্যবাদ ।
I am not sure where you’re getting your info, however great topic.
I must spend a while finding out more or understanding more.
Thank you for great information I was on the lookout for this info
for my mission.
Take a look at my web page: https://jobs.irms.org.uk/profile/welding-clarity/1888378/
Incredible! This blog looks exactly like my old one! It’s on a totally different
subject but it has pretty much the same layout and
design. Excellent choice of colors!
Look into my web-site :: internsavvy.com