Table of Contents
All About Share Market শেয়ার বাজার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য
শেয়ার বাজার (Share Market) কথাটা আজকাল সবাই হয়তো জানেন । আপনারা এটাও শুনেছেন যে শেয়ার বাজারে টাকা ইনভেস্ট করে প্রচুর ইনকাম করা যায় । আপনার কাছে যদি প্রচুর অর্থ থাকে তবে সেই অর্থ ব্যাংকে ডিপোজিট না করে, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি কেবল মাত্র ইনকাম দেখে, শেয়ার বাজার (Share Market) সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য না জেনে টাকা ইনভেস্ট করেন, তবে আপনি চরম লসের মুখে পড়লেও পড়তে পারেন ।
একটা কথা জেনে রাখবেন, যেখানে বেশী লাভের সুযোগ আছে, সেখানে বেশী ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনাও আছে । শেয়ার বাজার (Share Market) অনেকটা ফাটকা বা জুয়ার মতো । আপনাকে লাভ দিতেও পারে, আবার আপনার সব অর্থ ধ্বংস করে দিতেও পারে । তবে, শেয়ার বাজার সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ করে, তাদের যথাযথ প্রয়োগ ও পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি লসের সম্ভাবনা কমিয়ে লাভের পাল্লা বাড়িয়ে তুলতে পারবেন ।
এই আর্টিকেলের মধ্যে দিয়ে আপনারা জানতে পারবেন, শেয়ার বাজার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য । শেয়ার বাজার আসলে কি, কিভাবে কেনা বেচা করবেন, কখন কিনবেন কখন বেচবেন ইত্যাদি । এই তথ্যের নির্দেশ অনুযায়ী আপনি পদক্ষেপ করবেন এবং মুনাফা নিয়ে ঘরে উঠবেন ।
শেয়ার বাজার (Share Market) কি ?
শেয়ার বাজার (Share Market) হলো এমন একটি বাজার, যেখানে শেয়ার বা স্টক কেনাবেচা করা হয় । যেখানে কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে অন্য কোনও কোম্পানির শেয়ার কেনা বেচা করে থাকেন । আপনি যদি কোনো কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করেন তবে আপনি ওই কোম্পানির ছোট্ট অংশিদার বা শেয়ার হোল্ডার হয়ে যাবেন ।
এবার তাহলে প্রশ্ন হল, শেয়ার কি ? শেয়ার হল, কোনও কোম্পানির অংশিদারীত্ব । সেটা বড় আকারে হতে পারে, আবার একেবারে ক্ষুদ্র আকারেও হতে পারে । আপনি যেমন শেয়ার কিনবেন, সেই অনুপাতে কোম্পানির অংশিদারীত্ব পেয়ে যাবেন ।
একটি উদাহরণের মাধ্যমে সমস্ত বিষয়টা বুঝে নেওয়া যাকঃ ধরুন ABC একটি কোম্পানি, যার ১০০ টি শেয়ার আছে । আপনি যদি ওই কোম্পানি থেকে একটি শেয়ার ক্রয় করেন, তবে আপনি ওই কোম্পানির একজন শেয়ার হোল্ডার (Share Market in bengali) এবং কোম্পানির ১০০ ভাগের একভাগের অংশীদার বা ভাগিদার হয়ে গেলেন ।
আপনি যদি একটি বড় কোম্পানির শেয়ার বা স্টক (Share) কেনেন, তবে আপনি ওই কোম্পানির কিছুটা অংশিদার হবেন । যখন কোম্পানির ভ্যালু বাড়বে, সেই সঙ্গে সঙ্গে আপনার শেয়ারের দামও বাড়বে এবং কোম্পানির ভ্যালু কমে এলে আপনার শেয়ারর দামও কমে যাবে ।
ভারতের প্রধান দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ
১) ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE), এটি বৃহত্তর স্টক এক্সচেঞ্জ ।
২) বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE), এটি পুরাতন স্টক এক্সচেঞ্জ ।
এই দুটি স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশী কোম্পানির প্রচুর শেয়ার কেনা বেচা হয়ে থাকে ।
কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিখ্যাত স্টক এক্সচেঞ্জ
১) আমেরিকার নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ (NYSE), ন্যাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জ (NASDAQ), শিকাগো স্টক এক্সচেঞ্জ(CSE) ।
২) চায়নার সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ (SSE), শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জ(SZSE) ।
৩) জাপানের জাপান স্টক এক্সচেঞ্জ(JSX), টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ(TSE) ।
৪) হংকং এর হংকং স্টক এক্সচেঞ্জ(SEHK) ।
৫) বাংলা দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(DSE), চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ(CSE) ।
কোম্পানি জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রি করে কেন
কোনো কোম্পানির উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য যখন প্রচুর অর্থ বা মূলধনের প্রয়োজন হয় এবং সেই মূলধন কোম্পানির নিকট না থাকে, তখন মূলত সেই মূলধনের অভাব দূর করার জন্য এবং কোম্পানিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই কোম্পানি তার শেয়ার (Share) বিক্রি করে ।
একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝা যাকঃ ধরা যাক, একটি কোম্পানির বৃদ্ধি বা উন্নতির জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রয়োজন । কোম্পানির কাছে আছে ৫০ কোটি, বাকি ৫০ কোটি টাকা ঘাটতি । সেই ঘাটতি মেটানোর জন্য কোম্পানি ওই টাকা ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত করে শেয়ার হোল্ডারদের কাছে শেয়ার বিক্রি করে ঐ টাকা তুলে নেয় ও কোম্পানির উন্নতি করে ।
আপনি যত টাকা ইনভেস্ট করবেন (Share Market) সেই হিসাবে আপনি সেই কোম্পানির মালিকানা পাবেন । আপনি যদি কোনো কোম্পানির মোট টাকার ২% শেয়ার কিনে থাকেন, তবে ভবিষ্যতে ওই কোম্পানি যে পরিমাণ টাকা লাভ করবে তার ২% আপনি পাবেন, কারন আপনি তার ২% শেয়ার হোল্ডার ।
সুতরাং মানে হল, আপনি যে কোম্পানিতে ইনভেস্ট করছেন সেটা পরবর্তীকালে যদি উন্নতি করে, তাহলে আপনি যত টাকা ইনভেস্ট করেছেন এবং কোম্পানির যত টাকা লাভ হচ্ছে এই দুটোর অনুপাত অনুযায়ী টাকা রিটার্ন পাবেন, কিন্তু যদি ক্ষতি হয় তাহলে কোন টাকা ফেরত পাবেন না ।
শেয়ার বাজার কিভাবে কাজ করে
শেয়ার বাজার (Share Market in bengali) মূলত দুটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কাজ করেঃ ১) চাহিদা (Demand) এবং ২) সরবরাহ (Supply) ।
যদি কোনো কোম্পানির চাহিদা বেশি হয়, তবে সেই কোম্পানি শেয়ারের দাম বাড়িয়ে দেবে । ফলে শেয়ার বা স্টকের দাম বেড়ে যাবে । আবার, যদি কোনো কোম্পানির শেয়ার হোল্ডাররা তাদের শেয়ার বিক্রি করে দেয় অর্থাৎ সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়, তবে ওই শেয়ারের দাম কমে যাবে ।
শেয়ারের প্রকারভেদ
শেয়ার বাজারে (Share Bazar) শেয়ারের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে । আপনি যদি শেয়ার বাজারে টাকা ইনভেস্ট করতে চান তবে শেয়ারের প্রকারভেদ দেখে তবেই ইনভেস্ট করুন । মূলত ৫ প্রকারের শেয়ার রয়েছে, এগুলো হলঃ
১) ইক্যুইটি শেয়ার(Equity Share): ইক্যুইটি শেয়ার যেকোনো কোম্পানির জন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের উৎস । এই শেয়ারগুলি সাধারণ জনগণের জন্য জারি করা হয় । এই ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির ভোটাধিকার, লভ্যাংশ বণ্টন এবং সম্পদ দাবি করার অধিকার রাখে ।
২) প্রেফারেন্স শেয়ার (Preference Share): প্রেফারেন্স শেয়ার হল লভ্যাংশ সহ একটি কোম্পানির স্টকের শেয়ার যা সাধারণ স্টক লভ্যাংশ জারি করার আগে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করা হয় । যদি কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যায়, পছন্দের স্টকহোল্ডাররা সাধারণ স্টকহোল্ডারদের আগে কোম্পানির সম্পদ থেকে অর্থ প্রদানের অধিকারী ।
৩) নন-ভোটিং সাধারণ শেয়ার (Non-Voting Common Share): নন-ভোটিং শেয়ার হল একটি কোম্পানির মূলধনের একটি শেয়ার যা এমন একটি শ্রেণীর অন্তর্গত যার কোনো ভোটাধিকার নেই । নন-ভোটিং শেয়ারগুলি বেশিরভাগ কর্মীদের বা প্রধান শেয়ারহোল্ডারদের পরিবারের সদস্যদের জন্য জারি করা হয় । এই শেয়ার প্রধান শেয়ারহোল্ডারদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সময় কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার অনুমতি দেয় ।
৪) কিউমুলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার (Cumulative Preference Share): কিউমুলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার মালিকদের কোম্পানির কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান লভ্যাংশ প্রদানের অনুমতি দেয়, যদি কোম্পানি লাভজনক না হয় তবুও । যে বছরগুলিতে কর্পোরেশন লাভজনক হয় না, এই লভ্যাংশগুলি বকেয়া হিসাবে রিপোর্ট করা থাকে এবং যখন ব্যবসা লাভজনক হবে তখন সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করা হবে ৷
৫) রিডেমেবল শেয়ার (Redeemable Share): রিডেমেবল শেয়ার হল এমন শেয়ার যা একটি কোম্পানি সম্মত হয়েছে যে এটি ভবিষ্যতের কোনো তারিখে রিডিম করবে (অন্য কথায় আবার কিনবে) । অ্যাসোসিয়েশনে নিবন্ধ বা শেয়ারহোল্ডারদের চুক্তি সাপেক্ষে শেয়ার বিক্রি বা স্থানান্তর করার অধিকার শেয়ারহোল্ডারের থাকবে । প্রায়ই নতুন কর্মীদের প্রলুব্ধ করার জন্য একটি ক্ষতিপূরণ প্যাকেজের অংশ হিসাবে নিয়োগকর্তা জারি করে থাকে ।
এই পাঁচ ধরনের শেয়ার এর মধ্যে দুই ধরনের শেয়ার খুব জনপ্রিয়,
১) ইক্যুইটি শেয়ার (Equity Share), ২) প্রেফারেন্স শেয়ার (Preference Share) ।
Disclaimer: এই আর্টিকেল এর মধ্য শেয়ার বাজার (Share Market) সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া রয়েছে কিন্তু কোন বিনিয়োগ করার আগে কোম্পানির সমস্ত তথ্য এবং চুক্তি সবকিছু জেনে তবেই টাকা বিনিয়োগ করবেন ।
বিনিয়োগের আগে শেয়ার বাজার সম্পর্কে গবেষণা
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার আগে শেয়ার বাজার (Share Market) সম্পর্কে প্রচুর গবেষণা করার প্রয়োজন । তার জন্য বিভিন্ন উপায়ও রয়েছেঃ
১) আপনি যে কোম্পানি শেয়ার কিনতে চান, সেই কোম্পানি সম্পর্কে সংবাদ পত্রে পড়ুন । কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য, যেমন ক্যাপিটাল, ঋণ, বিগত দিনের লাভ ইত্যাদি সংগ্রহ করুন ।
২) ওই কোম্পানির প্রতিযোগী কোম্পানিগুলি সম্পর্কে খবরাখবর রাখুন । তাদের লাভ ক্ষতির বিস্তারিত খবর নিন ।
৩) বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে হাতের কাছেই সব পাওয়া যায় । শেয়ার (Share Market in bengali)সম্পর্কিত বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে গিয়েও খবর নিতে পারেন ।
৪) টিভিতেও শেয়ার বাজার সম্পর্কে অনেক চ্যানেলে আলোচনা বা পর্যালোচনা করা হয় । সেখান থেকেও আপনি অনেক তথ্য জানতে পারবেন ।
৫) এতকিছু করেও যদি আপনার দ্বিধা দূর না হয়, তাহলে কোন অভিজ্ঞ শেয়ার বাজার (Share Market) বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নিন ।
সবশেষে বলি, পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে অথবা সঠিক নির্ভরযোগ্য তথ্য না পেয়ে কোথাও বিনিয়োগ করবেন না ।
শেয়ার মার্কেটের সুবিধা ও অসুবিধা
সব কিছুর মতোই শেয়ার বাজারেরও সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই আছে । আলোর পিছনে অন্ধকার তো অবশ্যই থাকবে । সেই সুবিধা ও অসুবিধার দুটো দিকই একজন শেয়ার বাজার বিনিয়োগ কারীর জানা দরকারঃ
শেয়ার মার্কেটের সুবিধা
প্রথমে সুবিধা কি কি বলা যাক । শেয়ার বাজারের সুবিধাগুলো হলঃ
১) শেয়ার মার্কেটের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে টাকা দ্বিগুণ তিনগুন করে নেওয়া সম্ভব । যারা অল্পসময়ের মধ্যে তাদের অর্থকে দ্বিগুণ বা তিনগুন করার আশা করে থাকে, তাদের জন্য একমাত্র এবং অন্যতম মাধ্যম হল শেয়ার মার্কেট ।
২) শেয়ার বাজারের মাধ্যমে কোনও কায়িক পরিশ্রম ছাড়াই অর্থ উপার্জন করা যায়, ঘরে বসে মানসিক ভাবে পরিশ্রম করে ।
৩) শেয়ার ক্রয় করার মাধ্যমে আপনি একটি কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার হয়ে আনুপাতিক অংশীদার হয়ে গেলেন, অর্থাৎ কোম্পানির একটি সামান্য অংশের মালিকানা পেয়ে গেলেন ।
৪) আপনার প্রয়োজনে যখন ইচ্ছা শেয়ার বিক্রি করে অর্থের যোগান নিতে পারেন এবং প্রয়োজন মেটাতে পারেন ।
৫) দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে বেশির ভাগই আশাতীত লাভের মুখ দেখা যায় । খুব কম ক্ষেত্রেই ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে ।
৬) আপনার একটি স্মার্ট ফোন ও তাতে ইন্টারনেট যুক্ত থাকলে আপনি সহজেই ঘরে বসে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন ।
শেয়ার মার্কেটের অসুবিধা
অসুবিধাগুলিও জানার দরকার । অসুবিধা মূলত হলঃ
১) শেয়ার মার্কেটের প্রধান অসুবিধা হল, আপনার ইনভেস্ট করা অর্থ যখন তখন ডুবে যেতে পারে ।
২) শেয়ার মার্কেটের খবরাখবর সম্পর্কে সবসময় জাগ্রত থাকতে হবে । পরিস্থিতি অনুযায়ী শেয়ার কিনতে হতে পারে, আবার বেচতেও হতে পারে ।
৩) কখন কোন কোম্পানির মূল্য বাড়বে বা কখন কমবে তা আগে থেকে অনুধাবন করা যায় না । কাজেই, সম্পূর্ণ রিস্কের উপরে ইনভেস্ট করতে হয় ।
৪) বাজারের গতিপ্রকৃতি ভালো করে আয়ত্ব করতে হবে । অবস্থা খারাপ বুঝলে আগেভাগেই মুনাফা বন্দী করতে হবে অথবা বৃহত্তর ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে অল্প ক্ষতিতে শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে ।
৫) বর্তমান যুগে শেয়ার মার্কেটের ব্যবসা করতে হলে, স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেট সম্পর্কে নিজেকে দক্ষ থাকতে হবে ।
৬) ভালো করে জ্ঞান ও তথ্য অর্জন এবং পরিকল্পনা না করে যদি আপনি অসাবধানী এবং ভুলবশত টাকা লাগিয়ে ফেলেন, তবে আপনার লস হওয়ার সুযোগ অনেক বেশী ।
শেয়ারবাজারে শেয়ার কেনার সঠিক সময়
শেয়ার মার্কেট বা শেয়ার কেনাবেচা করতে গেলে আপনার ভালো অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন । বিষয়গুলি ভালোভাবে বুঝতে হবে যে, কখন আপনাকে শেয়ার কিনতে হবে বা বিক্রি করতে হবে । তাই,
১) প্রতি মুহূর্তে লক্ষ্য রাখতে হবে শেয়ার মার্কেটে, কোন কোম্পানির শেয়ারের মূল্য কমছে বা কোনটার মূল্য বাড়ছে ।
২) কম দামে কিনতে হবে, বেশী দামে বেচতে হবে- এটাই মূল কথা । পছন্দের কোম্পানির ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো করে জেনে নিন । সেই কোম্পানির শেয়ারের মূল্য যখন কমে যাবে, তখন আপনি শেয়ার কিনে নেবেন ।
৩) অনেক সময় কোম্পানির ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো থাকলে এবং শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পাবেই সেই বিষয়ে নিশ্চিত থাকলে, আপনি একটু বেশী দামেও শেয়ারগুলো কিনতে পারেন ।
শেয়ার মার্কেটে টাকা কিভাবে লাগাবো
শেয়ার বাজার (Share Market in bengali) আর পাঁচটি বাজারের মতো নয় । টাকা থাকলেই আপনি শেয়ার কিনতে পারবেন না । কতোগুলি পদ্ধতি পালন করে তবেই শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন । যেমনঃ
১) শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কেনাবেচা করতে গেলে আপনাকে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (Demat Account) তৈরি করতে হবে । ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন শেয়ার ব্রোকার অথবা কোনও ব্যাংক থেকেও করতে পারবেন ।
২) ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট হয়ে গেলে আপনার খুলতে হবে ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট । এই ক্ষেত্রে বলি, ব্যাংক থেকে না করে বিভিন্ন শেয়ার ব্রোকার (যেমনঃ অ্যাঞ্জেল ব্রোকিং, জেরোধা ইত্যাদি)এর এজেন্ট থেকে করাই ভালো । সেখানে এক সঙ্গে দুটো অ্যাকাউন্টই খুলে দেওয়া হবে । কোনও ঝামেলা থাকবে না ।
২) ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (Demat Account) তৈরি করতে গেলে অবশ্যই কোন ব্যাংকে আপনার একাউন্ট থাকতে হবে । ওই ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আপনার এই ডিম্যাট অ্যাকাউন্টটি যুক্ত করতে হবে ।
আপনি ইচ্ছা করলেই যখন তখন ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ব্যাঙ্কে অথবা ব্যাঙ্ক থেকে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিতে পারবেন ।
৩) অবশ্যই আপনার প্যান কার্ড থাকতে হবে । প্যান কার্ডটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত থাকতে হবে ।
৪) ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (Demat Account) এ আমাদের মোট টাকা রাখা থাকে । কোম্পানি থেকে কোন শেয়ার কেনাবেচার পর যে পরিমাণ লাভ হবে সেই টাকা এই ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে চলে আসবে । অর্থাৎ সমস্ত টাকা বা লাভ ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে থাকবে ।
৫) ভারতবর্ষে দুটি কোম্পানি বা সংস্থার মাধ্যমে আপনি শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কিনতে পারেনঃ
১) National Stock exchange (NSE),
২) Bombay Stock exchange (BSE) ।
এই দুটি কোম্পানি থেকে ভালো করে জেনে বুঝে তবে শেয়ার কিনবেন । আপনি শেয়ার বাজারে উন্নতি করুন এই আশা রাখি ।
শেয়ার মার্কেট ডাউন হওয়ার কারণ
কখনো কখনো আমরা শুনে থাকি যে শেয়ার মার্কেট অনেক পড়ে গেছে বা শেয়ার মার্কেট বেড়ে গেছে । কিন্তু কেন এমন হয় চলুন দেখে নিইঃ
১) শেয়ার মার্কেটেকখনো কখনো ধ্বস নামে । এর জন্য অন্যতম কারণগুলির একটি হলো, বিশ্বে এমন কোন ঘটনা দুর্ঘটনা ঘটে, যার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতি দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও শেয়ার মার্কেট পড়ে যায় । কারণ, আন্তর্জাতিক বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় । যেমন করোণা মহামারীর জন্য সমস্ত বিশ্বের আন্তর্জাতিক বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শেয়ার বাজার পড়ে গিয়েছিলো ।
২) কখনো কখনো দেশের অর্থনীতিতে মন্দা চললে, জনগনের হাতে টাকা থাকে না বা দেশীয় বাণিজ্যে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হলে ক্রেতারা বিনিয়োগ করতে চায় না, তখন শেয়ার মার্কেটের দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
৩) কখনো কখনো কিছু কোম্পানি বা শেয়ারহোল্ডার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বা অর্থের যোগানের জন্য শেয়ার মার্কেটে তাদের শেয়ার খুব কম দামে বেচতে উদ্যত হয় । তখন ঐ কোম্পানির শেয়ার মূল্য অনেক কমে যায় ।
৪) কোনও কোম্পানির দুর্বলতা অথবা বদনাম অথবা লসের পরিস্থিতি বাজারে প্রচার হয়ে গেলে, তখন ঐ কোম্পানির শেয়ার মূল্য হুহু করে কমে যায় ।
৫) দেশে কোনও রাজনৈতিক অস্থিরতা বা কোনও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হলেও শেয়ার বাজার (Share Market in bengali) পড়ে যায় ।
শেয়ার মার্কেট বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১) শেয়ার মার্কেটে যেমন রাতারাতি ধনী হওয়ার সুযোগ থাকে, তেমনি রাতারাতি ধ্বংস হয়ে যাওয়ারও ভয় থাকে ।
২) শেয়ার বাজার (Share Market) সম্পর্কে ভালো রকম পড়াশোনা করে তবেই ট্রেডিং করতে নামবেন । নচেৎ কিন্তু নয় ।
৩) যে কোম্পানিতে টাকা ইনভেস্ট করতে যাচ্ছেন, সেই কোম্পানি সম্পর্কে আগেভাগে ভাল করে রিসার্চ করুন, তারপর টাকা ইনভেস্ট করুন ।
৪) ইনভেস্ট করলে যে তার পরিবর্তে আপনি সর্বদা ভালো রিটার্ন পাবেন এমন চিন্তা নিয়ে শেয়ার মার্কেটে আসবেন না । লসকে সহ্য করার ক্ষমতা ও মানসিকতা দুটোই রাখতে হবে ।
৫) সোশ্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে হয়ে আগুনে ঝাপ দেবেন না । নিজের বুদ্ধি ও জ্ঞানকে কাজে লাগান, সফল শেয়ার হোল্ডার হয়ে উঠুন (Share Market)।
৬) শেয়ার বাজার (Share Market in bengali) থেকে মুনাফা পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হলে চলবে না । দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিন, ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করুন ।
শেয়ার মার্কেটে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র
শেয়ার মার্কেট (Share Market) প্রতি মুহূর্তে একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় । শেয়ার মার্কেট করতে গেলে আপনাকে প্রথমে সমস্ত বিষয়গুলি জেনে টাকা লাগানো উচিত । শেয়ার মার্কেটে সফল হতে গেলে আপনি,
১) আগে শেয়ার মার্কেট (Share Market) সম্পর্কে ভালো করে পড়াশোনা করুন । সকল খুঁটিনাটি বিষয় ভালো করে জানুন । শেয়ার মার্কেটের বিভিন্ন টেকনিক্যাল ব্যাপার রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন ।
২) যে কোম্পানির শেয়ার (Share) কিনতে চাইছেন সেই কোম্পানি সম্পর্কে ভালো করে রিসার্চ করুন । সেই কোম্পানি কতো দিনের পুরনো, ক্যাপিটাল কতো, ঋণ কতো, বাজারে তার সুনাম বা পরিচিতি কেমন ইত্যাদি ভালো করে জেনে তারপর সেই কোম্পানিতে আপনি বিনিয়োগ করুন ।
৩) বিনিয়োগ করলেই যে আপনি লাভ করতে পারবেন এমন মানসিকতা দূর করতে হবে । আপনার লাভও হতে পারে আবার লসও হতে পারে । লসকে মেনে নেওয়ার সাহস মাথায় রাখুন ।
৪) দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষেত্রে লাভের নিরাপত্তা বেশী থাকে । তাই মনের চঞ্চলতা দূর করুন । আজ কিনলে কালই আপনাকে লাভ দিয়ে দেবে, ব্যাপারটা এমন নয় । তাই মনকে সহনশীল করে ধৈর্য ধরতে হবে ।
৫) আপনার শেয়ারের মূল্য কমে গেলেই আপনি হতাশ হয়ে বিক্রি করে দেবেন, এটা কিন্তু নয় । মূল্য ওঠা নামা করতেই পারে । আপনাকে ধৈর্য রাখতে হবে । নির্ভরযোগ্য শেয়ার কিন্তু আপনাকে নিরাশ করবে না ।
৬) নিজে নিজে আত্মবিশ্বাস করতে না পারলে, যারা শেয়ার বাজার (Share Market) সম্পর্কে অভিজ্ঞ বা কোনও বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নিয়ে এগোতে পারেন ।
এই সবগুলো বিষয় মাথায় রাখলে আর একটু লস সহ্য করার ক্ষমতা থাকলে, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আপনি শেয়ার বাজার থেকে কোটিপতি হবেন হবেন এবং হবেন ।
Frequently Asked Questions
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকি আছে কি ?
ANS: অবশ্যই ঝুঁকি আছে । শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাজারের অস্থিরতা, কোম্পানির নিজস্ব দুর্বলতা, অর্থনৈতিক মন্দা, কোনও আন্তর্জাতিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে । আপনার অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সম্পূর্ণ তথ্য পর্যালোচনা করে বিনিয়োগ করবেন ।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট(Demat Account) কি ?
ANS: ডিমেটেরিয়ালাইজড(Dematerialization) অ্যাকাউন্টের সংক্ষিপ্ত নাম ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট । ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ইলেকট্রনিক ফরম্যাটে সকল শেয়ার, বন্ড এবং সিকিউরিটিজ সংরক্ষিত রাখে ।
ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট (Trading Account) কি ?
ANS: ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট স্টক মার্কেটে শেয়ার কেনা বা বিক্রি করতে ব্যবহৃত হয় । আগে, স্টক এক্সচেঞ্জে ওপেন ক্রাই সিস্টেমে কাজ হতো । এতে, ব্যবসায়ীরা তাদের ক্রয় / বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত জানাতে হাতের সংকেত এবং মৌখিক যোগাযোগ ব্যবহার করে । কিন্তু বর্তমানে সবকিছুই হয়ে থাকে অনলাইনে ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ও ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের মধ্যে পার্থক্য কি ?
ANS: ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ডিজিটালভাবে সকল সিকিউরিটিজ যেমন, বন্ড, শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি সুরক্ষিত রাখে । অন্যদিকে, ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট শেয়ার বাজারে অর্ডার প্লেস করার জন্য ব্যবহৃত হয় । ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট না থাকলে ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের কোনও কার্যকারিতা নেই । তাই, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট আগে খুলে তবেই ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলা যায় । আবার, ট্রেডিং করার পর আপনার শেয়ার বন্ড ইত্যাদি সঞ্চিত করার জন্য চাই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট কোথায় করা বেশী ভালো ?
ANS: আমার মতে, একজন ব্রোকারের কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা ভালো । কারন, প্রথমত, আপনি তার থেকে সাপোর্ট পাবেন । দ্বিতীয়ত, সে অবশ্যই আপনাকে ভালো ভালো শেয়ার কেনার পরামর্শ দেবে । কেননা, আপনার লাভ হলে তারও লাভ হবে ।
ব্রোকারের পরামর্শ কি বিনামুল্যে পাওয়া যায় ?
ANS: আদৌ না । তারাও ইনকাম করার জন্যই বসে থাকে । এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত ব্রোকাররা আপনাকে সাহায্য করার পরিবর্তে কিছু মূল্য নিয়ে থাকে । কারণ ওটাই তাদের ব্যবসা ।
কখন শেয়ারের দাম বাড়ে ?
ANS: মার্কেটে যখন কোনও ভরসাযোগ্য শেয়ার সীমিত ভাবে থাকে এবং সবাই কিনতে চায়, তখন তার চাহিদা বৃদ্ধি পায় ও সঙ্গে সঙ্গে তার মূল্যও অনেকখানি বেড়ে যায় । তখন অনেকেই সেই শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগ করে থাকে এবং সেই কোম্পানির লাভ হয় ।
কয়টি আন্তর্জাতিক স্টক এক্সচেঞ্জ আছে ?
ANS: নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে ক্ষুদ্র স্থানীয় এক্সচেঞ্জ পর্যন্ত মোটামুটি 60টি বড় আন্তর্জাতিক স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে, যেগুলির আকার এবং ট্রেডিং ভলিউম যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য ভাবে রয়েছে ।
শেয়ার ক্যাপিটাল বলতে কি বোঝায় ?
ANS: শেয়ার ক্যাপিটাল হল একটি কোম্পানি সাধারণ বা পছন্দের স্টক ইস্যু করে যে অর্থ সংগ্রহ করে । একটি কোম্পানির শেয়ার ক্যাপিটাল বা ইক্যুইটি অর্থায়নের পরিমাণ অতিরিক্ত পাবলিক অফার দিয়ে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে ।
শেয়ার মূলধন কেন ব্যবহার করা হয় ?
ANS: শেয়ার মূলধন আছে এমন প্রতিটি কোম্পানির অনুমোদিত এবং জারি করা উভয় প্রকার শেয়ার রয়েছে, যা অর্থ সংগ্রহ, মালিকানা নির্ধারণ এবং এক পক্ষ থেকে অন্য পক্ষের মালিকানা হস্তান্তর করতে ব্যবহার করা যেতে পারে । একটি শেয়ার নিজেই একটি কোম্পানির মালিকানার একটি ইউনিট, যার অধিকার, আগ্রহ এবং বাধ্যবাধকতা রয়েছে ।
আজ আমরা শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারনা দিলাম । এখানে অনেক কিছু আলোচনা করা হয়েছে । আশাকরি, শেয়ার বাজার কি বা কাকে বলে বা কেমন ভাবে কাজ করে তা আপনারা বুঝতে পেরেছেন । ভবিষ্যতে আরও অনেক তথ্য ও তত্ত্ব আমরা দেবো । আমাদের আলোচনা যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করবেন, লাইক করবেন ও সাবস্ক্রাইব করবেন । আপনার শেয়ারের ফলে অনেকের সাহায্য হতে পারে । আমাদের সাইটে নিয়মিত লক্ষ্য রাখুন ও আপনার প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য জেনে নিন । ধন্যবাদ ।