How Easy Pineapple Cultivation in Bengali 2022. আনারস চাষ করে আয়

Table of Contents

Pineapple Cultivation in Bengali আনারস চাষ করে আয়

আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হল Pineapple Cultivation in Bengali আমরা সবাই জানি, আনারস অতিসুন্দর সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল । সকলের পরিচিত । অত্যধিক চাহিদা ও ভালো বাজারদর থাকায় এই ফলের চাষ খুবই লাভজনক । চাষিদের মধ্যে এই চাষটি খুবই জনপ্রিয় । খাদ্যগুণে অতুলনীয় এই ফলটি । আনারস কিন্তু বারো মাসের ফল নয় । কাজেই, বাজারে সারাবছর মেলে না । দামও বেশ ভালই পাওয়া যায় । এই চাষ করে চাষিরা বিপুল আর্থিক লাভও করছেন । পাশাপাশি করা হচ্ছে সরকারি সাহায্যও ।

আমাদের দেশ ভারত আনারস উৎপাদনে পৃথিবীতে ষষ্ঠ স্থানে আছে । দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই সেরা । বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে এই চাষ ব্যাপক পরিমাণে হয়ে থাকে । তবে চাইলে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করে দক্ষিনবঙ্গেও আনারসের চাষ করা যেতে পারে । বিঘাপ্রতি লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যায় । আপনারা সাহস করে এগিয়ে এসে নতুন ধরনের চাষ করে (Pineapple Cultivation) নিজেকে বিখ্যাত করে তুলুন ।

সঠিক পদ্ধতিতে আনারসের চাষ করে আপনি অনেক অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন এটা সত্যি । তবে আনারস চাষ করার আগে, চাষের পদ্ধতি ও অন্যান্য বেশ কিছু খুঁটিনাটি বিষয় ভালো করে জেনে নেওয়া দরকার । চলুন আর দেরি না করে, চলে যাই মূল আলোচনাতে ।

আনারসের অজানা ইতিহাস

আনারস কিন্তু আমাদের দেশের ফসল নয় । ক্যাকটাস জাতীয় এই ফসলের ইতিহাস (Pineapple Cultivation in Bengali) সম্পর্কে নিচের তথ্যগুলি জানা যায়ঃ

  1. মনে করা হয়, আনারসের মূল উৎস ব্রাজিল দেশ । সেখানে বহুকাল আগে থেকে খাদ্য হিসাবে এর ব্যবহার চলে আসছে । সেখানকার আদিবাসীরা ব্যাপকভাবে এই চাষ করতো (Pineapple Cultivation) । পরবর্তী কালে উত্তর ও মধ্য আমেরিকাতে ছড়িয়ে পড়ে ।  
  2. চতুর্দশ শতকের আগেও এই ফলকে ইওরোপে প্রচুর পরিমানে রপ্তানি করা হতো । সুতরাং বলা যায় উৎপাদনও ভালো হতো ।
  3. স্প্যানিশ পর্যটক কলম্বাস সর্বপ্রথম এই কণ্টকজাতীয় ফলটিকে সারা বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় ঘটায় । বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে আনারসের পরিচিতি বিদ্যমান ।
  4. আনারসের ইংরাজি কথা পাইনঅ্যাপেল । পাইনঅ্যাপেল নামটি ইওরোপিয়রা দিয়েছে ফলটির গঠনের সাথে মিল রেখে । বাইরের অংশটি পাইন ফলের মতো শক্ত ও ভেতরের অংশটি আপেলের মতো রসালো ।
  5. কলম্বাস ফলটি স্পেনে আনলে রানী ইসাবেলা এই ফলের ভক্ত হয়ে ওঠেন এবং তার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এই ফলটি অবশ্যই থাকতো । তিনি এতোটাই ভালোবাসতেন যে, বহু চারা তিনি তার আশেপাশে রোপণ করেছিলেন (Pineapple Cultivation in Bengali) ।
  6. বর্তমানে বিভিন্ন দেশে আনারসের ব্যাপক পরিমানে চাষ হচ্ছে । ভারতের বিভিন্ন রাজ্য যেমন উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ইত্যাদি রাজ্যে বিপুল পরিমানে চাষ (Pineapple) হচ্ছে ।
  7. আমরা এখন আনারসকে আর বিদেশী ফল হিসাবে ভাবতে পারি না । নিজেদের ফল বলেই মনে করি । আমাদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয় ফল ।  

আনারস চাষের (Pineapple) উদ্দেশ্য

প্রতিটি চাষের একটি উদ্দেশ্য অবশ্যই আর্থিক মুনাফা । (Pineapple Cultivation) আনারস চাষ তিন ভাবে আমাদের আর্থিক মুনাফা দিতে পারে । যেমনঃ

ফল হিসাবে আনারস

আনারস সারা পৃথিবীতে ফল হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । খাদ্যগুণে আনারস পরিপূর্ণ বলে এই ফলের চাহিদা সারা বছরই ব্যাপক ভাবে থাকে । সেই কারনে, চাষিদের উৎপাদিত আনারস কখনোই নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না । চাষের পরিমান (Pineapple Cultivation) বৃদ্ধি পেলে আনারস বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি করা যেতে পারে । এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে নিঃসন্দেহে ।

খাদ্য প্রক্রিয়াকরনে আনারস

বিভিন্ন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে যেমন জ্যাম, জেলি, জ্যুস ইত্যাদি ক্ষেত্রে আনারস ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । বাণিজ্যিক ভাবে আনারসের ব্যবহার করার ফলে চাষিদের লাভের পরিমাণও বেড়ে যায় । সঠিক মূল্য ও উৎপাদিত সব ফসল বাজারজাত করার সুযোগ বেশি থাকে । ফলে চাষিরা লাভের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে । চাষ করার আগ্রহ বৃদ্ধি পায় ।

ঔষধ প্রস্তুতিতে আনারস

রোগ নিয়ন্ত্রণে আনারস ফলটি দারুণভাবে উপকারী । তাই নানারকম ওষুদ তৈরিতে এই ফলটি কাজে লাগে । বিভিন্নরকম ব্যাথা, ক্যানসার, হজম, কৃমি ইত্যাদি নানা ধরনের ওসুদ আনারস থেকে তৈরি হয় । ফলে ঔষধ শিল্পেও আনারসের চাহিদা কম নয় । যে কারণে এই ফলটির চাহিদা ভারতে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে ।

READ MORE   Easy Pudina Cultivation in Bengali 2022. পুদিনা পাতা চাষ পদ্ধতি

এমন একটি চাহিদাপূর্ণ ফলের চাষ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে । তাই কৃষকরা এই চাষ করতে আগ্রহী (Pineapple) হচ্ছে । আপনিও এই চাষকে বেছে নিয়ে অনেক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন ।  

Pineapple Cultivation in Bengali

আনারসের (Pineapple) উপকারিতা

মানুষের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা আছে এই ফলটির । বেশ কিছু রোগের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে । চলুন, আনারসের বিভিন্ন গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ

হজমের জন্য উপকারী

আনারসে ব্রোমেলিন থাকে, যা একপ্রকার উৎসেচক । এটি হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে । জেনে অবাক হবেন যে, দক্ষিন ও মধ্য আমেরিকায় আনারসকে পরিপাক তন্ত্রের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় । আবার আনারসে থাকা (Pineapple Cultivation in Bengali) ব্রোমেলিন ডাইরিয়ার প্রভাব কমাতে সাহায্য করে ।

রক্তাল্পতার ক্ষেত্রে লাভ দায়ক

আনারসে অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন সি থাকায় মানুষের শরীরের সার্বিক বৃদ্ধি এবং ক্ষত নিরাময় থেকে শুরু করে আয়রন বিশোষণ সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে । আয়রন রক্ত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে । সুতরাং, আনারস খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করা যায় ।

ক্যান্সারের রোগে উপকারী

ক্যানসারের ফলে শরীরে মৃত কোশ বৃদ্ধি পায় ও ভালো কোশকে ধীরে ধীরে আক্রান্ত করে । আনারসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহ বিরোধী উপাদান যথেষ্ট পরিমানে থাকে, যা ক্যানসারের পক্ষে খুবই উপকারী । ক্যানসার নিরাময়ের কোনও গ্যারান্টি নেই ঠিকই, কিন্তু আনারসে উপশমের সম্ভাবনা আছে ।

হাড়ের গঠনে উপকারী

আনারসে ম্যাঙ্গানিজ অতি মাত্রায় পরিপূর্ণ । ম্যাঙ্গানিজ তরুনাস্থি ও কোলাজেন গঠনে সাহায্য  করে । হাড়কে মজবুত রাখে এবং অস্টিওপরোসিস হওয়ার হাত থেকে হাড়কে রক্ষা করে । হাড়ের গঠন মজবুত করার পাশাপাশি খনিজ ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে যা হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে ।

শারীরিক প্রদাহে লাভ দায়ক

অতিরিক্ত শারীরিক প্রদাহ বিভিন্ন রোগের কারন হতে পারে, যেমন করোনারি আর্টারি রোগ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার এবং অ্যালজাইমারস । আনারসের ব্রোমেলাইনে প্রদাহ বিরোধী উপাদান থাকায় আনারস খেলে শারীরিক প্রদাহ উপশম হয় ও এই সব মারাত্মক রোগের হাত থেকে মানুষ ভীষণ ভাবে উপকৃত হতে পারে । 

ইমিউনিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে উপযোগী

রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে ইমিউনিটি বলা হয় । যার ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী সে যে কোনো রোগ থেকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারে । এই ইমিউনিটি সিস্টেম আমাদের দৈনন্দিন খাবার দাবারের উপরে নির্ভরশীল । আনারসে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেলস আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভীষণ ভাবে বাড়িয়ে তোলে স্বেত রক্ত কনিকা উৎপাদনের মাধ্যমে ।

বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে লাভ দায়ক

আনারসে ভিটামিন সি সহ আরও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে উচ্চ মাত্রায় । এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে । ফ্রি রেডিক্যাল কোশের ড্যামেজ করে স্বাস্থের ক্ষতি করে । এছাড়া, হার্টের রোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, অ্যালজাইমারস এবং চোখের রোগ ঘটায় । আনারস (Pineapple) খেলে মানুষ সুস্থ রাখে এবং এই সব রোগের হাত থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ।  

শরীরের ওজন কমাতে উপকারী

আনারসের একটি আদর্শ গুন হলো শরীরের ওজন হ্রাস করা । আনারসের জ্যুস ফ্যাট তৈরিতে বাধা দেয় এবং শরীরে জমানো ফ্যাট ভাঙ্গতে সাহায্য করে । বিপাক ক্রিয়ায় আনারসের তেমন কোনও প্রভাব নেই, তবুও একে ভালো ফল হিসাবে দেখা হয়, কারন এতে ক্যালোরি থাকে সামান্য মাত্রায়, প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, আবার কোনও ফ্যাট থাকে না । ফলে দেহের ওজন কমানো এবং তা স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে আনারসের গুরুত্ব অপরিসীম । এতে মিষ্টির পরিমান কম থাকায় সুগার হওয়ার ভয় কম থাকে । ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে ও শরীর সুস্থ রাখে ।

আনারসের বিভিন্ন প্রজাতি

পৃথিবীতে আনারসের অসংখ্য প্রজাতি পাওয়া যায় । তারমধ্যে ভারতে যে প্রজাতিগুলির চাষ (Pineapple Cultivation in Bengali) সাধারণত হয়ে থাকে সেগুলির উল্লেখ করছিঃ  

কিউ প্রজাতির আনারস

আসাম সহ উত্তরপূর্ব রাজ্য ও কেরালাতে হয়ে থাকে । এটি জনপ্রিয় বাণিজ্যিক প্রজাতি, ওজনে প্রায় ২/৩ কেজি হয়ে থাকে । পাকলে হলুদ রঙের হয় । হালকা হলুদ রঙের পুরু এবং রসালো শাস হয়ে থাকে (Pineapple plant)।

জায়ান্ট কিউ প্রজাতির আনারস

পশ্চিমবঙ্গে এর চাষ (Pineapple Cultivation in Bengali) বেশি হয়ে থাকে । এটিও জনপ্রিয় বাণিজ্যিক প্রজাতি, ওজনে প্রায় ২/৩ কেজির বেশি হয়ে থাকে । পাকলে হলুদ রঙের হয় । হালকা হলুদ রঙের পুরু এবং রসালো শাস হয়ে থাকে ।

কুইন প্রজাতির আনারস

আসাম সহ উত্তরপূর্ব রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালাতে হয়ে থাকে । এটি বাণিজ্যিক ও ফল হিসাবে বেশি ব্যবহৃত হয় । ১ থেকে ১.৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে । পাকলে হলুদ ও সোনালি রঙের হয় । গাড় সোনালি রঙের রসালো ও মিষ্টি শাস হয়ে থাকে ।

মাউরিটাস প্রজাতির আনারস

আসাম সহ উত্তরপূর্ব রাজ্য ও কেরালাতে হয়ে থাকে । দেশীয় বাজারে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে । মাঝারী সাইজের হয়ে থাকে । পাকলে লাল ও ডিপ হলুদ দুই প্রকারের হয় । মাঝারী মিষ্টির এই প্রজাতিটি একটু দেরিতে পাকে ।

জালধুপ প্রজাতির আনারস

আসামে ফলে থাকে । এটি কুইন প্রজাতির অন্তর্গত । স্থানীয় ভিত্তিতে নামকরন হয়ে থাকে । সাইজে ছোট হয়ে থাকে । মিষ্টির ভাগ ব্যালান্স করা থাকে ।

লাখাত প্রজাতির আনারস

আসামে হয়ে থাকে । এটিও কুইন প্রজাতির অন্তর্গত । স্থানীয় ভিত্তিতে নামকরন হয়ে থাকে । সাইজে ছোট হয়ে থাকে । এটাতেও মিষ্টির ভাগ ব্যালান্স করা থাকে ।

আনারস চাষের (Pineapple Cultivation) উপযুক্ত সময়

আনারস ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ । এমনিতে সারা বছরই আনারস চাষ (Pineapple Cultivation in Bengali) করা যায় । বিশেষ কোনও ঋতুর দরকার হয় না । তবে খুব ভাল ফলন পেতে হলে নির্দিষ্ট সময়েই চাষ করা উচিতঃ

  1. চারা রোপণের প্রায় ১২ থেকে ১৪ মাস পরে আনারস গাছে (Pineapple plant) ফুল আসে । সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে গাছে ফুল ধরে । সেই দিক থেকে দেখলে, অক্টোবর নভেম্বর মাস চারা রোপণের আদর্শ সময় ।
  2. ভালো সেচের ব্যবস্থা থাকলে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্তও চারা (Pineapple) রোপণ করা যায় । সেক্ষেত্রে ফুল একটু দেরিতে আসে । নভেম্বর ডিসেম্বরের দিকে ফল পাওয়া যাবে ।
READ MORE   Huge Profitable Capsicum Cultivation in Bengali 2022. খুব লাভজনক ক্যাপসিকাম চাষ

আনারসের জন্য জমি নির্বাচন

যে কোনও চাষের জন্য জমি ঠিকঠাক হওয়া প্রয়োজন । জমি এবং মাটি সঠিক নির্বাচন করতে না পারলে ফলনের ক্ষতি হবে । আনারস চাষের জন্য কেমন জমি উপকারী তার আলোচনা নিচে করা হলঃ

  1. জলনিকাশী ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে (Pineapple Cultivation in Bengali)। গাছের গোঁড়ায় জল দাঁড়ালে গাছ নষ্ট হয়ে যাবে । তাই উঁচু বা মাঝারী উঁচু জমি বেশ উপকারী ।
  2. যেহেতু জল দাঁড়ালে চলবে না, তাই দোঁয়াশ ও বেলে দোঁয়াশ মাটি যুক্ত জমি আনারস চাষের জন্য হওয়া উচিত ।
  3. পর্যাপ্ত সূর্যালোক আনারস চাষের (Pineapple Cultivation) পক্ষে অত্যন্ত জরুরী । তাই জমিতে যেন পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে ।
  4. আবহাওয়ার কথা বললে বলবো, মিডিয়াম তাপমাত্রায় আনারস ভালো হয় । খুব বেশী বৃষ্টিপাত এবং অনিয়মিত তাপমাত্রায় গাছের বৃদ্ধি ভালো হয় না ।

আনারসের চাষ পদ্ধতি

Pineapple Cultivation in Bengali

আনারস চাষ (Pineapple Cultivation) মোটামুটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে । চারা তৈরি, জমি তৈরি এবং চারা রোপণ, এই ধাপগুলি নিয়ে আলোচনা করা হলঃ

আনারসের চারা তৈরি

  1. আনারসের চারা (Pineapple plant) বীজের মাধ্যমে হয় না । নানা রকম মুকুলের মাধ্যমে হয় ।
  2. প্রথমবার রোপণের জন্য (Pineapple Cultivation) চারা অবশ্যই কিনে আনতে হবে । কিন্তু দ্বিতীয়বার থেকে চারা নিজেদের বাগান থেকেই করে নেওয়া যাবে ।
  3. আনারসে অনেক রকম মুকুল বেরোয়, যেমন পার্শ্বমুকুল, অগ্রমুকুল, বৃন্তমুকুল ইত্যাদি । তবে চারার জন্য পার্শ্বমুকুলই উৎকৃষ্ট ।
  4. পার্শ্বমুকুল গুলো গোঁড়া থেকে যত্ন সহকারে কেটে সংগ্রহ করে দুই এক দিন রোদ খাওয়াতে হবে । ব্যাস, চারা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে ।

আনারস চাষের জমি তৈরি

  1. জমিতে ৫/৬ বার চাষ দিয়ে আগাছা মুক্ত করতে হবে এবং মাটি ভালোভাবে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে ।
  2. চারা রোয়ার অন্তত ১০/১৫ দিন আগে বিঘাপ্রতি ১.৫ টন গোবর সার এবং ১ কেজি আ্যজোটোব্যাকটর মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে ।
  3. জমিতে মই দিয়ে মাটি সমতল করে নিতে হবে । এরপর বেড তৈরি করতে হবে (Pineapple Cultivation)। জল যাতে না দাঁড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ।
  4. প্রতি বেড ১৫ সেমি উঁচু হবে ও ১ মিটার চওড়া হবে । এক বেড থেকে অন্য বেডের মাঝে ১০০ সেমি জায়গা ড্রেন আকারে থাকবে ।
  5. পাহাড়ের ঢালে চাষ করলে মাটি আলগা করা বিপদজনক । সেখানে শুধু আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে ।

আনারসের চারা রোপণ

  1. এক মিটার চওড়া বেডে দুই সারিতে চারা বসাতে হবে । বেডের দুই প্রান্তে চারাগুলো লাইন দিয়ে থাকবে ।
  2. চারা থেকে চারার দূরত্ব ৫০ সেমি হবে । প্রতি চারার জন্য ১০/১২ সেমি গভীর গর্ত করে তাতে ১৫ গ্রাম জিপসাম ও ১৫ গ্রাম ডিএপি এবং ৩০০ গ্রাম গোবর সার দিতে হবে । সেই গর্তে চারা বসাতে হবে ।
  3. বেশি লম্বা চারা বসাবেন না । কোনও চারা লম্বায় বেশি হলে এক সাইজ করে কেটে নিন । তাতে আনারস বাগান দেখতে সুন্দর হবে ।
  4. চারা বসানো হয়ে গেলে গোঁড়াতে ভালো করে মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে । হালকা জলের ছিটা দিয়ে দেবেন ।

আনারস চাষের পরিচর্যা    

সুস্থ সবল গাছ এবং অধিক ফলন পাওয়ার জন্য সযত্ন পরিচর্যা যে কোনও চাষের জন্য অত্যন্ত জরুরী । আনারসও তার ব্যাতিক্রম নয় । তাই কি কি পরিচর্যা করতে হবে ভালো করে জেনে নিনঃ

আনারস চাষে জলসেচ

  1. আনারস চাষে (Pineapple Cultivation in Bengali) মাটি শুকিয়ে গেলে চলবে না । গরমের দিনে সাধারন ভাবে ১৫ দিনের ব্যবধানে একবার সেচ দেওয়ার দরকার হয় ।
  2. প্রত্যেকবার সার প্রয়োগ করার পরেই সেচ দেওয়ার প্রয়োজন । সেচ ঠিকমতো না হলে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হবে । ফলে ফলন ভালো হবে না ।
  3. সেচ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, জল যেন অতিরিক্ত না হয় । অতিরিক্ত হয়ে গেলে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ।
  4. বর্ষাকালে গাছের গোঁড়ায় যাতে জল না জমে সেদিকে অতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে । প্রয়োজনে নালা কেটে অতিরিক্ত জল বের করে দিতে হবে ।

আনারস চাষে সার প্রয়োগ

  1. জমি তৈরির সময় বিঘা প্রতি ১.৫ টন গোবর সার ও ১ কেজি আ্যজোটোব্যাকটর এবং ১০/১২ কেজি এনপিকে প্রয়োগ করা হয় ।
  2. চারা বসানোর (Pineapple Cultivation in Bengali) সময় প্রতি চারার জন্য ১৫ গ্রাম জিপসাম ও ১৫ গ্রাম ডিএপি এবং ৩০০ গ্রাম গোবর সার দিতে হয় । 
  3. চারা লাগানোর (Pineapple Cultivation) ৪/৫ দিন পরে প্রতি চারার গোঁড়ায় ৩৫ গ্রাম এমওপি এবং ৩৫ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে ।
  4. ফসল তোলা পর্যন্ত এই ভাবে সার মোট ৫/৬ বার প্রয়োগ করে যেতে হবে । প্রত্যেক বার সার প্রয়োগের পর পরই হালকা করে সেচ দিতে হবে ।
  5. চাপান সার ও দানা ওষুধ চারা থেকে ২/৩ ইঞ্চি দূরে মাটিতে মেশানো উচিৎ ।
READ MORE   Profitable Dragon Fruit Cultivation in Bengali 2022.  লাভজনক ড্রাগন ফ্রুটের চাষ

আনারস চাষে আগাছা দমন

  1. আগাছামুক্ত পরিচ্ছন্ন জমিতে রোগ ও পোকার আক্রমণ কম হয় এবং ফলন বেশী পাওয়া যায় ।
  2. চারা রোয়ার পর থেকে ফসল তোলা পর্যন্ত মোট ৩/৪ বার নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে ।
  3. চারা বেশি লম্বা হয়ে গেলে তা ছাটাই করে দিতে হবে ।  জমিতে সেচ দেওয়ার পর ও সার প্রয়োগ করার পর মালচ দিয়ে দিলে জমি আগাছা মুক্ত থাকে ভালো । এতে জমির উর্বরতা ও বৃদ্ধি পায় ।

আনারস ফসলের রোগ ও পোকামাকড়

প্রত্যেক চাষে বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড়ের উৎপাত থাকেই । এ সবের হাত থেকে ফসলকে রক্ষা করে তবেই ভালো ফলন পাওয়া যায় । যেমনঃ

আনারস চাষে রোগ জীবাণু

আনারসে প্রধানত ছত্রাকজনিত গোড়া পচা ও ফল পচা রোগ দেখা যায় । গাছ ও ফল ধীরে ধীরে হলদে হয়ে শুকিয়ে যায় । এই রোগ প্রতিরোধে গাছের গোড়ায় থায়াফ্যানেট মিথাইল ২ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে । এছাড়া, কৃষি বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ নিয়ে তার প্রতিকার করতে হবে ।

আনারস চাষে পোকামাকড়

আনারসে পোকামাকড়ের উৎপাত খুব একটা দেখা যায় না । মাঝে মাঝে কিছু পোকামাকড় দেখা দিতে পারে, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে । 

আনারস চাষের মোট খরচ

চাষ করতে গেলে (Pineapple Cultivation) প্রাথমিক ভাবে একটা খরচ করতে হয় । বিঘাপ্রতি খরচের আনুমানিক হিসেব এখানে তুলে ধরলামঃ

  1. জমি নিজের থাকলে ভালো । না থাকলে জমি লিজে নিয়ে চাষ করতে হবে । সেক্ষেত্রে এক বিঘা জমি লিজে নিতে ১০০০০ টাকা পড়বে ।
  2. এক বিঘাতে ৭০০০ চারা বসবে । প্রতি চারা ৩ টাকা হিসাবে মোট ২১০০০ টাকা খরচ পড়বে চারা কিনতে ।
  3. জমিতে পাঁচ ছয় বার লাঙ্গল দিতে হবে । প্রতি বারে ৭০০ টাকা হিসাবে ৬ বারে মোট ৪২০০ টাকা লাঙ্গলের খরচ ।
  4. বীজ রোয়া করতে চারজন লেবারের দুদিন লাগবে । প্রতি লেবার ৩০০ টাকা হিসাবে মোট খরচ ২৪০০ টাকা ।
  5. জলসেচ, আগাছা দমন ও সারের পিছনে সর্বাধিক ১৫০০০ টাকা খরচ হতে পারে ।
  6. তাহলে খরচ দাঁড়ালো, ১০০০০ + ২১০০০ + ৪২০০ + ২৪০০ + ১৫০০০ = ৫২৬০০ টাকা । এর সঙ্গে দুইবার চাপান দিতে খরচ মোটামুটি ২০০০০ টাকা ধরলে মোট খরচ হয়, ৫২৬০০ + ২০০০০ = ৭২৬০০ টাকা । 

এই টাকা একবার খরচ করতে পারলে, ১৮ মাসের মাথায় দ্বিগুন টাকা উপার্জন করা যাবে সন্দেহ নেই ।

আনারসের দাম এবং লাভ

Pineapple Cultivation in Bengali

এবার এলাম আসল কথায় । প্রত্যেকটা চাষের পিছনে মূল কারনই হচ্ছে, সব শেষে কি পরিমান মুনাফা ঘরে আনা যাবে । আনারস সত্যিই খুবই লাভদায়ক ফসল । লাভের একটা পরিসংখ্যান দেওয়া হলঃ

  1. চারা বসানোর ১২ থেকে ১৪ মাসের পর গাছে ফুল আসবে এবং ১৮ মাসের পর ফসল তুলতে পারবেন । আনারস এক ফলনের চাষ (Pineapple Cultivation in Bengali)।  
  2. বিঘা প্রতি ৭০০০ গাছ বসানো হয় । প্রতি গাছেই ফল ধরে । বাজারে পাইকারি হিসাবে অ্যাভারেজ ৩০ টাকা প্রতি পিস দাম পেলে মোট আয় হচ্ছে ৭০০০ * ৩০ = ২১০০০০ টাকা ।
  3. আবার চারা বিক্রি করেও লাভ হয় । একটি গাছে চার পাঁচটি চারা হয় । একটি চারা নিজের জন্য রেখে চারটি বিক্রি করা যায় ২.৫ টাকা হিসাবে । তাহলে চারা থেকে লাভ, ৭০০০ * ৪ * ২.৫ = ৭০০০০ টাকা ।  
  4. মোট আয় দাঁড়াচ্ছে, ২১০০০০ + ৭০০০০ = ২৮০০০০ টাকা । খরচ বাদ দিয়ে লাভ দাঁড়াবে, ২৮০০০০ – ৭২৬০০ = ২০৭৪০০ টাকা । খরচের তিন গুন অর্থাৎ আপনি  ১৮ মাসে লাখপতি হয়ে যাবেন । সুতরাং দ্বিধা না করে আজই আনারস চাষের কথা মাথায় সেট করে নিন ।

আজ আমরা আনারস চাষ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম । আগামীতে আনারস চাষ নিয়ে আরো নতুন নতুন আলোচনা করবো, তাই আমাদের পেজে নিয়মিত চোখ রাখুন । এই লেখাটি অনেকের কাজে লাগতে পারে তাই লেখাটি যতটুকু সম্ভব শেয়ার করুন, যাতে করে অনেকের উপকারে আসে । 

Frequently Asked Questions

একটি আনারস গছে কয়টি ফল ধরে ?

ANS: একটি গাছে একটি প্রধান ফল ধরে । প্রধান ফলের নিচ দিয়ে অনেক সময় মুকুল বেরিয়ে ফল ধরে । ওটা অনেক সময় রাখা হয় না, আবার রাখা হয় । দ্বিতীয় মুকুল রেখে দিলে দুটো ফল তোলা যায় ।

আনারস গাছ কতো দিনে ফল দেয় ?

ANS: আনারস গাছ ১২ থেকে ১৪ মাসে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয় ও গাছে ফুল ধরে এবং ১৮ মাসে ফল পরিপুষ্ট হয়ে যায় । একবার ফসল তোলা হয়ে গেলে সেই গাছ আর রাখা হয় না । আবার নতুন চারা বসানো হয় ।

আনারস গাছ কতদিন বাঁচে ?

ANS: এমনিতে আনারস গাছ ৭ বছর বাঁচে এবং বছরে একবার একটি করে ফল দেয় । কিন্তু চাষের ক্ষেত্রে একবার ফল দিলে সেই গাছ আর রাখা হয় না । পুরানো গাছে কেটে নতুন চারা লাগানো হয় ।

আনারস গাছে কেমন সূর্যের আলো দরকার ?

ANS: আনারস গাছে পর্যাপ্ত পরিমানে সূর্যের আলো দরকার । গড়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা আলোর প্রয়োজন । সূর্যের আলো ভালো পেলে ফলের রঙ ও মিষ্টতা দুটোই বৃদ্ধি পায় ।

কেমন মাটি আনারস চাষের পক্ষে ভালো ?

ANS: আনারস চাষের পক্ষে দোয়াস বা বেলে দোয়াস মাটি উপযুক্ত । জমিতে জল দাঁড়ালে চলবে না আবার জমির আর্দ্রতা কমে গেলেও চলবে না । তাই দোয়াস বা বেলে দোয়াস মাটিই উপযুক্ত ।

আনারস কি রক্তে শর্করা বাড়ায়?

ANS: স্বল্পমেয়াদে, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়া, আনারস সহ, আপনার রক্তে শর্করাকে কম করবে না। নেট কার্বোহাইড্রেট খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াবে। যাইহোক, আরও খাদ্যতালিকাগত ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের একটি পরিসীমা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

আনারস খাওয়ার সেরা সময় কি ?

ANS: সকালে খালি পেটে আনারস না খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে কারণ এটি অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে। এটি খাওয়ার সর্বোত্তম সময় মধ্য-সকালের জলখাবার হিসাবে সকাল 10-11টা বা সন্ধ্যার জলখাবার হিসাবে বিকাল 4:30 টার দিকে ।

আনারস কি পেটের চর্বি পোড়ায় ?

ANS: আনারসে পাওয়া এনজাইম ব্রোমেলাইন বিপাককে উন্নত করতে সাহায্য করে, যা ফলস্বরূপ, চর্বি পোড়ায়। এটি আপনার পেটের চর্বিকেও কমাতে সাহায্য করে ।

আনারসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি ?

ANS: আনারস ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল উচ্চ মাত্রার সাইট্রিক অ্যাসিড খালি পেটে খেলে পেট খারাপ হতে পারে। আনারসের অ্যাসিড দাঁতের এনামেল এবং মাড়ির ক্ষয় ঘটাতে পারে। এটি জিনজিভাইটিস এবং কখনও কখনও গহ্বরের কারণ হতে পারে। অত্যধিক খাওয়া ত্বক এবং ঠোঁট প্রভাবিত করতে পারে।

আনারস খাওয়ার উপকারিতা কি ?

ANS: আনারসের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা যেমন প্রচুর পুষ্টি জোগায় । আনারসে ক্যালরি কম এবং ভিটামিন ও মিনারেল বেশি। টিস্যু নিরাময় বৃদ্ধি করে । প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে ।হজমে সাহায্য করে। বাতের ব্যথা উপশম করে। ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
এ ছাড়াও অনেক গুনাগুণ আছে আনারসের ক্ষেত্রে ।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আমি কিংশুক দেবনাথ (Kingshuk Debnath), এই সাইটের রূপকার ও প্রতিষ্ঠাতা (Creator & Founder) । আমি একজন লেখকও বটে । আমি বিভিন্ন প্রকারের ব্যবসা, চাষআবাদ, পেশা সম্পর্কে সব তথ্য ও তত্ত্ব তুলে ধরতে চাই । শুধু তাই নয়, অনেক নতুন ধারনা যা আপনারা ভাবেন নি বা দেখেন নি সেই সবও । আমি চাই, নতুন প্রজন্ম এবং বেকার কর্মসন্ধানী মানুষেরা নিয়মিত আমার সাইটে নজর রাখুন এবং আকর্ষণীয় ধারনাগুলি দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠা করুন...

Leave a Comment